২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:০২ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
আল্ট্রাসনোগ্রাম বলেছিলেন, ছেলে হবে। অবশেষে সিজারের মাধ্যমে কোলে দেওয়া হলো এক মেয়ে শিশুকে।

আল্ট্রাসনোগ্রাম বলেছিলেন, ছেলে হবে। অবশেষে সিজারের মাধ্যমে কোলে দেওয়া হলো এক মেয়ে শিশুকে।

অনলাইন ডেস্ক::গর্ভবতী এক মাকে আল্ট্রাসনোগ্রাম শেষে চিকিৎসক বলেছিলেন, ছেলে হবে। অবশেষে সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর তার কোলে দেওয়া হলো এক মেয়ে শিশুকে। আর এই মেয়ে শিশুটি তার সন্তান নয় বলে জানাতেই নবজাতক নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে।
বিষয়টি নিয়ে বিপদে পড়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। তারা বলছেন, তাদের কোনো ভুল হয়নি। কাছাকাছি সময়ে জন্ম নেওয়া তিন শিশুকে তাদের নিজ নিজ মায়ের কোলেই দেওয়া হয়েছে। এরপরও কোনো শঙ্কা থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে গতকাল রোববার বেলা ১১টা থেকে ১২টার দিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তিনটি শিশুর জন্ম হয়। শিশু তিনটি জন্ম দেন- সদর উপজেলার মোহনপুর এলাকার শারমীন আক্তার, সুহিলপুরের তামান্না আক্তার ও পৌর এলাকার পাইকপাড়ার দিপ্তী রানী দাস। শারমীন ও তামান্নার কোলে ছেলে শিশু ও দিপ্তীর কোলে মেয়ে শিশু দেওয়া হয়। জটিলতা সৃষ্টি হয় তামান্না ও দিপ্তীর সন্তান নিয়ে।

দিপ্তীর মা শোভা রানী বিশ্বাস তার নাতনিকে কোলে নেওয়ার সময় আপত্তি করেন। তিনি জানান, তিনবার আল্ট্রাসনোর করা হলে প্রতিবারই তার মেয়ের গর্ভে ছেলে সন্তান আছে বলে জানানো হয়। যে কারণে তিনি বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। তামান্নাকে দেওয়া ছেলে সন্তানটি তার নাতি বলে তিনি দাবি করেন। দীপ্তিও মেয়ে সন্তানটি তার নয় বলে দাবি করেছেন।

তামান্নার স্বজন মো. বকুল মিয়া বলেন, ‘তামান্নার কোলে যে ছেলে সন্তান দেওয়া হয়েছে সেটিই সঠিক। দিপ্তী ও তার স্বজনরা কি কারণে এমন করছে তা বোধগম্য হচ্ছে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, বাচ্চা দিতে গিয়ে কোনো ধরনের ভুল হয়নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেন বলেন, ‘এ নিয়ে ভুল বুঝাবুঝির কোনো ধরনের সুযোগ নেই। একটা সিজারের আধা ঘণ্টা পর আরেকটা সিজার হয়। ডাক্তারও ছিলেন আলাদা। তারপরও যদি এ নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকে তাহলে মেয়ে শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।’

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019